৬ অগাস্ট ২০২২ শুক্রবার জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন দাম অনুযায়ী— প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, কেরোসিন ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, অকটেন ৪৬ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা, এবং পেট্রোল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়েছে।
আকস্মিক এ মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে কতটুকু বিরূপ প্রভাব বিস্তার করেছে হালের খবর বিশ্লেষণ করলে আমরা তা সহজেই আঁচ করতে পারি। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সকল পণ্যের দামই ধীরে ধীরে জনগণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে এক তেলের দাম বাড়ানোয় বাজারের তাবৎ জিনিসের দাম কেন বেড়ে যাচ্ছে। বস্তুত জ্বালানী তেল যেকোনো পণ্যের বাজারজাতকরণের প্রক্রিয়ায় কোনো না কোনোভাবে জড়িত। তেলের দাম বাড়লে সঙ্গত কারণেই চাল, ডাল, সবজি সবকিছুর দামই বাড়বে, তাইতো তেলের মূল্য সরাসরি অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে।
তবে এবারের ৫১ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধি নতুন করে বাংলাদেশের জ্বালানী নিরাপত্তার প্রশ্নকে সামনে নিয়ে আসছে। বাংলাদেশের জ্বালানী ব্যবস্থা অতিমাত্রায় তেল ও গ্যাসনির্ভর। বাংলাদেশ টেকসই ও নগত বায়নযোগ্য জ্বালানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ স্রেডার এক সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় ৮১ শতাংশ আসে তেল ও গ্যাসনির্ভর পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে। বাদবাকি ১৫.৫ শতাংশ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কারখানাগুলো নিজেরাই উৎপাদন করে অথবা বাইরে থেকে আমদানি করে আনা হয়। দেশের মোট উৎপাদনের মাত্র ৩.৫ শতাংশ আসে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস থেকে, যা একটি উন্নয়নশীল দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানী চাহিদার যোগান পরিকল্পনায় নিতান্তই অপ্রতুল!
বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে বহুল প্রচলিত উৎস হলো সৌরশক্তি। ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ সৌরশক্তি ব্যবহারের জন্য বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। আমাদের দেশে বর্ষা মৌসুমের সময়টুকু ব্যাতীত সারা বছরেই কম বেশি সূর্যের তাপ পাওয়া যায়। এছাড়া প্রযুক্তিগত ভাবে গত ২-৩ বছরে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল উপাদান সোলার প্যানেলের দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, সেই সাথে বৈশ্বিকভাবে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সোলার প্যানেলের দামও কমেছে উল্লেখযোগ্যহারে। ২০২০ সালের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক জ্বালানী কর্তৃপক্ষ IEA র দেয়া এক তথ্য অনুসারে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বর্তমানে তেল, গ্যাস, কয়লা বা অন্যান্য জ্বালানীর তুলনায় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে।
সৌরবিদ্যুতে জ্বালানীর দামী বছর বছর বাড়ার ভয় নেই, ইন্সটলেশন করা সহজ, একবার লাগালে ২০ বছরের বেশি সময় একটি সোলার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ দিতে পারে। এত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও আমাদের মোট এনার্জি মিক্স এর মাত্র ৩.৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে আসছে কেন?
বস্তুত এ প্রশ্নের উত্তর অনেকগুলো নিয়ামকের উপর নির্ভরশীল। এককথায় বলা চলে, সৌরবিদ্যুতের প্রতি বাংলাদেশের সাধারণ জনগনের আস্থা এখনো সেভাবে গড়ে উঠে নি। ২০০০ থেকে ২০১০ সালে দেশে বিদ্যুতের আওতার বাইরে থাকা গ্রামীন জনগোষ্ঠীকে সোলার হোম সিস্টেম নামক প্রকল্পের মাধ্যমে ঢালাওভাবে সৌরবিদ্যুতের সুবিধাভুক্ত করা হয়েছিল। সেই সাথে বিদ্যুৎ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো সরকারি বা বেসরকারি স্থাপনায় নতুন করে বিদ্যুতের সংযোগ পেতে সোলার রুফটপের সংযোগ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। অত্যন্ত মহৎ এসকল উদ্যোগকে সেসময় একশ্রেণীর সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন। একটি প্রতারক চক্র দ্রুত মুনাফার আশায় নিম্নমানের সোলার প্যানেল, ইনভার্টার, চার্জ কন্ট্রোলার ইত্যাদি দিয়ে সাধারণ ভোক্তাদের সাথে সেসময় প্রতারণা করে এসেছেন। ঢাকাস্থ গুলিস্থান ও কাপ্তান বাজার এসকল নিম্নমানের সোলার পণ্যের অন্যতম বিক্রয়স্থল। পাশাপাশি ২০০০ সাল থেকে ২০১৭/ ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিকভাবেও সোলার এতটা সস্তা ও আধুনিক প্রযুক্তির ছিলো না। সবকিছু মিলিয়ে বিগত দুই দশকে সোলার বাংলাদেশে সেভাবে জনপ্রিয়তা পায় নি।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে সোলারের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে বাড়ছে, যার ছোঁয়া বাংলাদেশেও ইতোমধ্যে লাগতে শুরু করেছে। আমাদের দেশের শিল্পোদ্যোক্তাগণ তাদের কারখানায় উন্নতমানের মেগাওয়াট লেভেলে সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করছেন। সাম্প্রতিক জ্বালানী সংকট বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনাকে নতুন করে উজ্জ্বীবিত করেছে বলা চলে। তবে সৌরবিদ্যুতের পুনরুজ্জীবনকে সত্যিকার অর্থে টেকসই ও সফল করতে হলে এই খাতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, সরকারি, ও বেসরকারি সেবা সংস্থাগুলোকে আন্তরিক হতে হবে।
মোটাদাগে বলা চলে, বর্তমানে সোলার ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয়তার পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে ওপেক্স মডেলে সোলার ইনভেস্টমেন্ট ও নেট মিটারিং এর সুবিধা। OPEX মডেলে সোলার ইন্সটলেশনের ক্ষেত্রে ইন্সটলার কোম্পানি সম্পূর্ণ ফাইন্যান্সিং নিজে করে থাকে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের নিজস্ব কোনো ইনভেস্টমেন্ট নেই, গ্রাহক শুধুমাত্র সোলার ইন্সটলেশনের প্রয়োজনীয় জায়গা ও মাসিক বিদ্যুৎ বিল ইন্সটলার কোম্পানিকে প্রদান করে থাকে। গ্রাহক যেহেতু সোলার এনার্জি জেনারেশনের উপর বিল দিবেন, তাই ইন্সটলেশনের পরে ঠিকমতো জেনারেশন হচ্ছে কি না তার মাথাব্যথা গ্রাহকের নেই। OPEX মডেলে ইন্সটলার কোম্পানিকে নিজ দ্বায়িত্বে জেনারেশন নিশ্চিত করতে হবে, ফলে সোলারের প্রতি গ্রাহকের আস্থা বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণ। বাংলাদেশে ধীরে ধীরে ওপেক্স মডেল জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইন্ডিয়া, ইউরোপ, ও আমেরিকার ওপেক্স ফান্ড প্রাপ্ত বিভিন্ন কোম্পানি দেশে বিনিয়োগ করা শুরু করেছে। কিন্তু বড় বিনিয়োগকারী ওপেক্স কোম্পানীগুলো ২০০ থেকে ৩০০ কিলোওয়াট পিকের নিচের সোলার ইনভেস্টমেন্টে আগ্রহ দেখায় না। ফলে ছোট শিল্পোদ্যোক্তা বা সাধারণ জনগন ওপেক্সের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকার এক্ষেত্রে ওপেক্স সোলার ফান্ড গঠনের মাধ্যমে সর্বসাধারণের নিকট এ সুবিধা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
সোলার জনপ্রিয়করণে সরকারের আরেকটি যুগোপোযোগী সিদ্ধান্ত ২০১৮ সালের নেট মিটারিং নীতিমালা। এ নীতির ফলে কোনো বিদ্যুৎ ভোক্তা তার স্থাপনায় সোলার প্ল্যান্ট থেকে তাঁর ব্যক্তিগত চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে সেটি জাতীয় গ্রিডে রপ্তানি করতে পারবেন। গ্রাহকের উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ তাঁর মাসিক বিদ্যুৎ বিলের সাথে সমন্বয় করা হবে। নেট মিটারিং ব্যবস্থা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকরাও সোলারে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবেন। একজন গ্রাহক তাঁর দিনের বেলার বিদ্যুৎ চাহিদা সোলারের মাধ্যমে পূরণ করার পর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারলে রাতে বস্তুত ওই বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে নিয়ে পুনরায় ব্যবহার করতে পারবেন। এতে একজন গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল যেমন কমিয়ে আনতে সক্ষম হবেন, তেমনি পরিবেশ রক্ষায় কার্বন নিঃসরণ কমাতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অবদান রাখতে পারবেন।
বর্তমানে নেট মিটারিং ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান অন্তরায় এর অনুমোদন ব্যবস্থা। কোনো গ্রাহক তাঁর স্থাপনায় সোলার প্ল্যান্টে নেট মিটারিং করতে গেলে স্রেডার অনুমোদন নিতে হয়। তবে এর আগে BSTI থেকে সোলার প্যানেল ও ইনভার্টারের মান পরীক্ষা করিয়ে নিতে হয়। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অনেক দীর্ঘ ও খরচসাপেক্ষ হওয়ায় অনেক সোলার কোম্পানি নেট মিটারিং এর আবেদন করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। পাশাপাশি গ্রাহক পর্যায়ে নেট মিটারিং সম্পর্কে পর্যাপ্ত গণসচেতনতা না থাকায় অনেক গ্রাহক তথ্যের অভাবে এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি (BEPZA) তাদের আওতাধীন কোনো কারখানায় নেট মিটারিং করার অনুমতি দিচ্ছে না। ফলে বড় বড় কারখানার ছাদ মেগা স্কেলে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হলেও গ্রিডে রপ্তানি করতে না পারায় সোলার প্রজেক্টে উৎসাহিত হচ্ছেন না।
নেট মিটারিং সুবিধাকে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সরকারি সংস্থাগুলোকে আন্তরিক হতে হবে, সেই সাথে আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের বিদ্যুৎ আইনে সমন্বয় আনতে হবে। সরকার কর্তৃক গ্রহীত এই মহৎ উদ্যোগ যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে বাস্তবায়ন করা দূরহ হয়ে উঠতে পারে। রেগুলেটরি অথরিটির পাশাপাশি সকল সোলার কোম্পানির উচিৎ হবে অনতিবিলম্বে ভালো মানের প্যানেল ও ইনভার্টার নেট মিটারিং এর জন্য অনুমোদন করিয়ে নেয়া। উন্নত গ্রেডের প্যানেল ও ইনভার্টার ব্যবহার করে নেট মিটারিং করলে গ্রাহক পর্যায়ে সোলারের প্রতি ভরসা আসবে, যা সোলার খাতের টেকসই ব্যবসায়ীক সম্প্রসারণের জন্য অত্যন্ত জরুরী।
আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারত ইতোমধ্যে ২০২২ সালের জুন মাসে ৫৬ গিগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। ভারত সরকার ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিক নাগাদ ১৭৫ গিগাওয়াট ও ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ শক্তি নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদন করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বস্তুত সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা ব্যতীত এধরণের উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প বাস্তবায়ন কোনোমতেই সম্ভব নয়। আমেরিকান কংগ্রেস সম্প্রতি ৩৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গ্রিন এনার্জি ফান্ড পাশ করার পরে বিশ্বব্যাপী ইনভেস্টররা নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পগুলোয় ব্যাপকভাবে অর্থায়ন করছে। জার্মান সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে তৈরী করবে বলে ঘোষণা করেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে জার্মানীর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৮০ শতাংশই হবে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে। চায়না, অস্ট্রেলিয়া সহ ইইউ ভুক্ত সকল দেশগুলোর সরকার নবায়নযোগ্য উৎসকে উৎসাহিত করতে ট্যাক্স হলিডে, ভ্যাট মওকুফ সহ উল্লেখযোগ্য প্রণোদনামূলক সুবিধা ঘোষণা করছে।
বাংলাদেশ সরকারেরও এক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর মডেলে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিৎ। সেই সাথে নেট মিটারিং ব্যবস্থা ও ওপেক্স মডেলে সোলার ইন্সটলেশনকে সহজলভ্য করতে সরকারের আন্তরিক ভূমিকা অপরিহার্য। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাস্তবিক চাহিদার কথা বিবেচনা করে এ লক্ষ্য আরো বাড়ানো যেতে পারে। আশা করা যায়, বাংলাদেশের সোলার ব্যবসায়ীগন আসন্ন এই সম্ভাবনাকে পুঁজি করে সততার সাথে উন্নতমানের প্যানেল ও ইনভার্টার ব্যবহারে জনগনের আস্থা অর্জন করবেন। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে নবায়নযোগ্য শক্তির বাংলাদেশ, আর তা নিশ্চিত করতে জ্বালানী খাতে জড়িত সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
জ্বালানী নিরাপত্তার সাথে একটি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবকাঠামো অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। সৌরবিদ্যুতের ব্যাপক বিস্তৃতি বাংলাদেশের জ্বালানী সংকট মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। সৌরবিদ্যুতের দাম সময়ের সাথে অপরিবর্তিত থাকে এবং আগে থেকেই আন্দাজ করা যায় বিধায় দেশের সার্বিক নীতিনির্ধারণে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সৌরবিদ্যুৎ সহায়ক হতে পারে। দেশের অর্থনীতিতে জ্বালানী নিরাপত্তা আসলে দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশের জনগনের কষ্টার্জিত অর্থ তেল গ্যাস আমদানি ঝুঁকিতে থাকবে না। আর তাই সরকারের পরিকল্পনা পর্যায়ে সৌরবিদ্যুতকে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করার এখনই উপযুক্ত সময়!