সোলার প্যানেল ইন্সটলেশনের সময় প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে আমার বাড়ির ছাদে বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল শেডে কতটুকু সোলার ইন্সটল করা যাবে? চলুন প্রথমেই জেনে নেই কত কিলোওয়াট পিকের জন্য কতটুকু জায়গা জরুরী।
জায়গা পরিমাপের থাম্ব রুলঃ
উন্মুক্ত জায়গায় ছায়া বিবেচনা করে সিলিকন মনোক্রিস্টালাইন প্যানেল দিয়ে ১ কিলোওয়াট স্থাপনে ৮০ স্কয়ারফিট এবং পলিক্রিস্টালাইন প্যানেল দিয়ে ১ কিলোওয়াট স্থাপনে ১০০ স্কয়ারফিট স্থান বিবেচনা করা হয়
বস্তুত ১ কিলোওয়াট প্যানেল স্থাপনে ৬০-৭০ স্কয়ারফিট জায়গা যথেষ্ট হলেও শেডিং জনিত সমস্যা যাতে না থাকে তাই প্রাথমিকভাবে ৮০-১০০ স্কয়ারফিট জায়গা বিবেচনা করা শ্রেয়।
উদাহরণঃ
আপনার বাসায় যদি ২০,০০০ স্কয়ারফিট পরিমাপের খালি ছাদ থেকে থাকে, আপনি ২০,০০০/১০০ = ২০০ কিলোওয়াট পিকের সোলার প্যানেল ইন্সটল করতে পারবেন। বস্তুত আপনি ৩০০ কিলোওয়াটের মত ইন্সটল করতে পারলেও প্রাথমিক বিবেচনায় কম করে ধরা উচিৎ। এক্ষেত্রে আপনার ছায়ামুক্ত নির্বিঘ্ন জেনারেশন নিশ্চিত হবে।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক সোলার ওপেক্স মডেল কি, কিভাবে ওপেক্স মডেলে গ্রাহক লাভবান হবেন, এবং এক্ষেত্রে কি কি চ্যালেঞ্জ আছে।
OPEX মডেল:
OPEX মডেলে সোলার ইন্সটলেশনের ক্ষেত্রে ইন্সটলার কোম্পানি সম্পূর্ণ ফাইনান্সিং নিজে করে থাকে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের নিজস্ব কোনো ইনভেস্টমেন্ট নেই, গ্রাহক শুধুমাত্র সোলার ইন্সটলেশনের প্রয়োজনীয় জায়গা ও মাসিক বিদ্যুত বিল ইন্সটলার কোম্পানিকে প্রদান করে থাকে।
গ্রাহকের লাভ:
১. কোনো আপফ্রন্ট ইনভেস্টমেন্ট লাগছে না
২. গ্রাহক শুধুমাত্র যতটুকু সোলার এনার্জি জেনারেশন হবে ততটুকুর উপর বিল দিবেন। এক্ষেত্রে ইন্সটলেশনের পরে ঠিকমতো জেনারেশন হচ্ছে কি না তার মাথাব্যথা গ্রাহকের নেই, ইন্সটলার কোম্পানি নিজ দ্বায়িত্বে জেনারেশন নিশ্চিত করবে
৩. গ্রাহক বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউটর কোম্পানিকে যত টাকা দিতো তার চেয়ে ডিস্কাউন্টেড প্রাইসে সোলার ইন্সটলার কোম্পানিকে বিদ্যুতের দাম দিবে
উদাহরণস্বরূপ: REB র পার ইউনিট বিদ্যুৎ বিল ৮.৫০ টাকা হলে গ্রাহক ইন্সটলার কোম্পানিকে ৭.৫০ প্রদান করবে, মাঝখানে ১ টাকা প্রতি ইউনিট গ্রাহকের প্রতিমাসে সাশ্রয় হচ্ছে। উপরন্তু, ইন্সটলার কোম্পানির এই বিল ২০ বছর যাবত ফ্ল্যাট রেট থাকবে, যেখানে বিদ্যুতের দাম প্রতি ২-৩ বছরে বৃদ্ধি পায়। তাই বস্তুত গ্রাহকের সাশ্রয় বছর বছর বৃদ্ধি পাবে।
৪. গ্রাহককে সোলার ইকুইপমেন্টের দ্বায়িত্ব নিতে হচ্ছে না। ইনস্টলেশন থেকে শুরু করে ইন্স্যুরেন্সের দায়-দ্বায়িত্ব গ্রাহককে বহন করতে হবে না – ইন্সটলার কোম্পানি এসকল দায় বহন করবে।
এইতো গেলো গ্রাহকের সব লাভের কথা, এক্ষেত্রে গ্রাহক কি কি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন তা নিয়ে চলুন কথা বলা যাকঃ
চ্যালেঞ্জসমূহঃ
১। যেহেতু ওপেক্স মডেলে সকল ফাইনান্সিং ইন্সটলার কোম্পানি করবে, তাই ইন্সটলেশনের পূর্বে কোম্পানিগুলো গ্রাহকের ফাইনান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি খুব সতর্কতার সাথে যাচাই বাছাই করে। গ্রাহকের বিগত ৩ বছরের অডিটেড ফাইনান্সিয়াল রিপোর্ট, ক্রেডিট রেটিং, বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট – ইত্যাদি সতর্কতার সাথে বিবেচনা করা হয়। অর্থাৎ আপনি চাইলেই ওপেক্স মডেলে ইনভেস্টমেন্ট পাবেন না, আপনাকে ফাইনান্সিয়াল সলভেন্সি প্রমাণ করতে হবে।
২। ওপেক্স ইনভেস্টমেন্ট সাধারণত ২০ বছরের জন্য হয়ে থাকে। তাই এ সময়ের মধ্যে আপনি আপনার স্থাপনার কোনো পরিবর্তন/ পরিবর্ধন করতে চাইলে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করা লাগতে পারে।
বর্তমান বাংলাদেশের জ্বালানী সংকট ও বৈশ্বিক জীবাশ্ম জ্বালানীর ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণে সোলার এনার্জির চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাছে। গ্রিট টেকনোলজিস ওপেক্স মডেলে সোলার ইন্সটলেশন করে থাকে। আপনি আপনার স্থাপনায় ওপেক্স মডেলে সোলার ইন্সটলেশনে আগ্রহী হয়ে থাকলে আমাদের হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেনঃ 01797259691.